শরীফ ইকবাল রাসেল
নরসিংদীর হাটবাজারে এবং ছোট বড় মেলাগুলোতে প্রকাশ্যেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। আর এসব প্রসাধনী ব্যবহারে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বিএসটিআই ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহারে স্কীনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবুও নিজেদের শ্রীবৃদ্ধি ও রুপ লাবন্য তৈরীর চেষ্টায় অনেকেই এসব প্রসাধনী ব্যবহার করেন।
নিম্নমানের এসব প্রসাধনী ব্যবহারে হিতের বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। নরসিংদীর বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের মেলায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে মানহীন প্রসাধনী। কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ বা বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়া ছাড়াই বাসায় বসে নিজেরাই তৈরী করেন এসব প্রসাধনী। এর কোনটা বোতলজাত, আবার কোনটা প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তাদের তৈরী প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে মাথার তৈল, মুখের ব্রন পরিস্কার করার ক্রীম, মাথা ঠান্ডার তৈল, বিভিন্ন রকমের মেহেদী ও গোসলের সাবানসহ হরেক রকম প্রসাধনী। এসব পণ্যের গায়ে নেই কোনো উৎপাদন বা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ। প্রকাশ্যে বিক্রি হওয়া এসব প্রসাধনীতে নেই কোনো পণ্যের মূল্যও।
তবে উদ্যোক্তাদের দাবি, এসব পণ্য কোন ক্ষতি করেনা। আবার অনেকেই বলছেন, এগুলো মানসম্মত প্রসাধনী এবং অবশ্যই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। নরসিংদী সিভিল সার্জন ফারহানা আহমেদ জানান, বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া কোন প্রকার প্রসাধনী বা ক্যামিকেল পরীক্ষা ছাড়া ব্যবহার ঠিক নয়। আর অনুমোদন ছাড়া এসব পণ্য বাজারে বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব পণ্য ব্যবহারে স্কিন ক্যান্সার, এলার্জিসহ চর্মজাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে বড় ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
তাই বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া এসব প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply